ভর্তি চলিতেছে তাও আবার ৫০% ছাড়ে

মার্শাল আর্ট কেন করবো ?
মার্শাল আর্ট কী শরীরের কোন প্রকার কাজে লাগে ?
কী করর নিজের শরীরকে সুস্থ রাখা যায়?
 মেটাবলিজম বিভাগের মতে কারাতে একটি উচ্চমাত্রার অ্যারোবিক ব্যায়াম। শিল্প, ক্রীড়া ও আত্মরক্ষার কৌশল হিসেবে এটি সারা বিশ্বে জনপ্রিয়। সুপ্রাচীন কাল থেকেই পূর্ব এশিয়ায় মার্শাল আর্টের প্রচলন রয়েছে। যেকোনো বয়সী মানুষ নিয়ম মেনে এই ব্যায়াম করতে পারেন। এবার জেনে নিন এই ব্যায়ামের কয়েকটি উপকারিতা সম্পর্কে—
১. শরীরের প্রায় সব মাংসপেশি বিভিন্ন মাত্রায় ব্যবহৃত হয়। ফলে এসব মাংসপেশির নমনীয়তা, ভারসাম্য ও শক্তি বাড়ে। মার্শাল আর্ট চর্চা করলে নানা ধরনের ব্যথা ও হাড়ের জোড়া বা সন্ধির সমস্যা নিয়ন্ত্রণে থাকে।
২. হৃদ্যন্ত্রের সক্ষমতা বাড়ায়। কেননা, এই ব্যায়ামের ফলে প্রশ্বাসের সঙ্গে টেনে নেওয়া অক্সিজেন ফুসফুস ও হৃদ্যন্ত্রের কার্যক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
৩. এক ঘণ্টা সাধারণ মাত্রার মার্শাল আর্টচর্চায় প্রায় ৫০০ ক্যালরি ক্ষয় হয়। ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এ ছাড়া নিয়মিত এই ব্যায়াম করলে মস্তিষ্কের ক্ষুধা ও তৃপ্তি নিয়ন্ত্রক এলাকার ওপর প্রভাব পড়ে। তখন অতিরিক্ত খাবার গ্রহণের প্রবণতা কমে।
৪. বিজ্ঞানীদের গবেষণায় দেখা যায়, দৈনন্দিন জীবনে মার্শাল আর্টের বড় ধরনের প্রভাব পড়ে। এটি অনুশীলনকারীরা দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে ও কাজ করতে সক্ষম হয়ে ওঠেন।
৫. প্রয়াত মার্শাল আর্ট তারকা ব্রুস লি বলেছিলেন, প্রতিটি লাথি (কিক) বা ঘুষির (পান্চ) ফাঁকে একজন মার্শাল আর্টিস্ট নিজের দুর্বলতাগুলো টের পান, নিজেকে চেনেন। নিজেকে যত চেনা যায়, ততই তাঁর মনোনিবেশ করার ও নিজেকে ছাড়িয়ে যাওয়ার ক্ষমতা বাড়ে। এর একটা চমৎকার ইতিবাচক প্রভাব পড়ে ব্যক্তিগত ও কর্মজীবনে।
৬. বিজ্ঞানীদের মতে, মার্শাল আর্টের সবচেয়ে ইতিবাচক দিক হলো, এটি মানুষের আত্মবিশ্বাস অনেক গুণ বাড়িয়ে দেয়। যেকোনো পরিস্থিতিতে যেকোনো সমস্যা সামলে নেওয়ার মতো সাহস জোগায়।
৭. যুদ্ধের কৌশল হলেও মার্শাল আর্ট আদতে মানুষের আগ্রাসী মনোবৃত্তি ও হিংস্রতাকে দমন করে। কারণ, এর নৈতিক উদ্দেশ্য (এথিকস), বিধিনিষেধ (ফরবিডেন অ্যাক্ট) এবং বাধ্যবাধকতা (অবলিগেশন)। ধৈর্যশীল ও শান্ত থাকা এবং অন্তর্দৃষ্টি অর্জন—মার্শাল আর্টের এই তিন মূলমন্ত্র মানুষকে অশুভ প্রবৃত্তি দমনে সাহায্য করে।
৮. মার্শাল আর্টের চর্চায় মস্তিষ্ক থেকে এন্ডোরফিন নামের জৈব রাসায়নিক পদার্থ প্রচুর পরিমাণে নিঃসৃত হয়। এটি বিষণ্নতা দূর করে ও সুখের অনুভূতি বাড়ায়। গবেষণায় দেখা যায়, এই ব্যায়াম অনুশীলনের পর চার ঘণ্টা পর্যন্ত রক্তে উচ্চমাত্রায় এন্ডোরফিন থাকে।
তাই নিজেকে স্বুস্থ ও প্রফুল্ল রাখতে আর দেরি না করে চলে আসুন আমাদের অফিসে এবং আমরা সবাই সিলেট মার্শাল আর্ট একাডেমি কারাতে-দো তে ভর্তি হয়ে নিয়মিত কারাতে করি, নিজেকে স্বুস্থ ও প্রফুল্ল রাখি। আপনি যদি সিলেট বিভাগে থাকেন এবং মার্শাল আর্ট শিখতে চান তবেই আমরা আছি আপনাদের পাশেই!
সিলেট বিভাগের মধ্যে একমাত্র আমরাই দিচ্ছি নিজস্ব ইনডোর সুবিধার সাথে সাথে ২৪বছরের ও বেশি অভিজ্ঞতাসম্পন্ন প্রশিক্ষক এবং নানা রকম সুবিধা.! 
আমাদের অফিস : ৩য় তলা, রিয়াজম্যানশন, সুবিদবাজার, সিলেট-৩১০০
মোবাইল : 01716072859

Comments

Popular posts from this blog

ADDMISSION ⭐ GOING ON ⭐

Achievement ⭐